পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার (২১ পয়েন্ট)

  পয়েন্ট সমূহ
(লোড হচ্ছে...)
    Image by Steve Buissinne from Pixabay

    ভূমিকা:

    মানুষসহ পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশই হলো প্রাণের ধারক। পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মানুষ বা অন্য যে কোনো উদ্ভিদ বা প্রাণীর জীবনের উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে। প্রতিটি জীবই বাঁচার জন্য নিজ নিজ পরিবেশ থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করে। সে পরিবেশ যদি কোনো কারণে দূষিত হয় তবে তা জীবের অস্তিত্বে জন্য হুমকিস্বরূপ। পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষ পরিবেশ দূষণের প্রধান নিয়ামক। আবার সে মানুষই আজ পরিবেশের সুস্থতা রক্ষায় উদ্যোগী হয়ে উঠছে। কারণ, একথা মানুষের অজানা নয় যে, পরিবেশ এভাবে ক্রমাগত প্রতিকুল হয়ে উঠলে তার ধ্বংস অনিবার্য।

    পরিবেশ কী:

    আমাদের চারপাশের যা কিছু আছে তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ গঠিত। অর্থাৎ আমাদের বাসস্থান, দালান-কোঠা, ঘরবাড়ি, গাছপালা, মাটি, বায়ু, জলাশয় সব কিছু নিয়েই তৈরি হয় পরিবেশ। পরিবেশ দুই প্রকার, যথাঃ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও কৃত্রিম পরিবেশ। প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে গঠিত পরিবেশকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মানবসৃষ্ট উপাদান নিয়ে গঠিত পরিবেশকে কৃত্রিম পরিবেশ বলা হয়। মানুষের দৈনন্দিন জীবনাচরণ এ পরিবেশের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।

    পরিবেশ দূষণ কীঃ

    কোনো কারণে পরিবেশ যখন তার সাভাবিকতা হারায় বা পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের কাঙ্খিত মাত্রা বিনষ্ট হয়, সেই পরিবেশ জীব-জগতের জন্য অস্বস্তিকর অসহনীয় হয়ে উঠে। এ অস্বাভাবিক বা অসুস্থ পরিবেশই হলো দূষিত পরিবেশ। আধুনিক যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষের জন্য অনেক আরাম-আয়েশের উপকরণ জুগিয়েছে। সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে অনেক দূরে। কিন্তু এই বিজ্ঞানের কারণেই পরিবেশ তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে কৃত্রিম ও অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। মানুষ যখন তখন নির্বিচারে কেবল তার স্বার্থের জন্য প্রকৃতিকে নিষ্ঠুরভাবে কাজে লাগাচ্ছে। ফলে নানা দুর্যোগ বিপর্যয়ের মাধ্যমে প্রকৃতিও যেন মানুষের প্রতি হয়ে উঠেছে প্রতিশোধপরায়ন।

    পরিবেশ দূষণে সৃষ্ট সমস্যাঃ

    প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে যেন একটি নিরন্তর দ্বন্দ মহমান। বেঁচে থাকার তাগিদে, জীবনধারনের জন্য মানুষ প্রকৃতিকে কাজে লাগায়। আবার, প্রকৃতি তার স্বভাব সূত্রে মানুষের বিরোধিতা করে। এই দ্বন্দের ফলে পরিবেশ তার ভারসাম্য হারায়। মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বিজ্ঞানের অগ্রগামী জয়যাত্রার ফলে মানুষকে তার পরিবেশ নিয়ে ভাবতে হলো। জীবনে আনন্দকে সহজলভ্য করার জন্য, জীবনকে স্বস্তিদায়ক করার জন্য নানা ধরণের রাসায়নিক পদার্থের আবিষ্কার ও ব্যবহার পরিবেশের স্বাভাবিকতা বিনষ্ট করতে শুরু করলো। Peter Williston এর একটি মন্তব্য অনুসারে-

    "Environment pollution is a great threat to existence of living being on the earth."

    পরিবেশ দূষণের প্রকারভেদ:

    পরিবেশ দূষণ মূলত দুই উপায়ে হয়ে থাকে। যথাঃ স্বাভাবিক উপায়ে ও কৃত্রিম উপায়ে। সাধারণত প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় পরিবেশে যে অবনতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে তাই-ই প্রাকৃতিক দূষন। প্রাকৃতিক দূষনের মধ্যে রয়েছে সীসা, পারদ, সালফার, কার্বন-ডাইঅক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড ইত্যাদি। তাছাড়া আমাদের মলমুত্র ও পচনদ্রব্য থেকে প্রাকৃতিক দূষণ হয়ে থাকে। কৃত্রিম দূষণের নিয়ামক হচ্ছে কলকারখানা আর যানবাহনের কালো ধোয়া। তাছাড়াও আছে কীটনাশক, গুড়াসাবান, ওষুধপত্র ও পলিথিন প্লাস্টিকের মতো প্রসাধনী সামগ্রী।

    পরিবেশ দূষণের নানান কারণ: 

    স্থান-কালভেদে পরিবেশ দূষণের কারণও ভিন্ন ভিন্ন। তবে সাধারণ ভাবে পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণগুলো হলোঃ

    * জনসংখ্যা বৃদ্ধি।
    * বিভিন্ন যন্ত্র ও যানবাহনের বিরূপ ব্যবহার। 
    * রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার। 
    * নির্বিচারে বন উজার।
    * বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার। 
    * যুদ্ধ বিগ্রহ।
    * গ্রীনহাউজ এফেক্ট।
    এসব দূষণকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটি দূষণ ও শব্দদূষণ।

    পরিবেশ দূষণের ফলাফল:

    পরিবেশ দূষণের কারণে মানবসভ্যতা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় সূত্রাকারে। নিম্নে তা দেয়া হলোঃ 

    *বন্যা, খরা বেড়ে যাবে। 
    * জীববৈচিত্র নষ্ট হবে। 
    * বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হবে। 
    * মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যাবে। 
    * পানি ও বায়ুদূষণের ফলে অনেক অজানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাবে।

    খাদ্য দূষণ:

    বেঁচে থাকতে হলে মানুষের প্রথমেই প্রয়োজন খাদ্যের। খাদ্যে ভেজাল কথাটি এখন সারাবিশ্বজুড়ে প্রচলিত। ভেজাল অর্থ এখন শুধু অসৎ ব্যবসায়ীর অসততা নয়, কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক পদার্থ মিশানোকেও বুঝানো হয়। শাক-সবজি মিষ্টিমন্ডা, মাছ-মাংস সর্বত্রই নির্বিচারে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ফলে এসব খাদ্যদ্রব্যের স্বাভাবিক গুণ হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে দূষন ঘটছে এবং সর্বভুক মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

    পানিদূষণ:

    পানি দূষণের ভয়াবহতা ঢাকার বূড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী মানুষদের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে। এই চিত্র কেবল ঢাকায় নয়। সারাবিশ্বে জনবহুল এলাকার সাধারণ সমস্যা। পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থার ত্রুটিও পানি দূষণের অন্যতম কারণ। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এই এক দশক আন্তর্জাতিকভাবে পানি ও পয়নিষ্কাষণ শুদ্ধি অভিজান চলেছিল। অবশ্য সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। উন্নত দেশগুলোতে পানি শোধণের ব্যবস্থা থাকলেও অনুন্নত দেশগুলো এখনো এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত।

    শব্দদূষণ:

    শব্দদূষণ মূলত শহরকেন্দ্রিক সমস্যা। কলকারখানা ও যানবাহনের শব্দের সাথে শহরবাসীর নৈমিত্তিক পরিচয়। ইদানিং মাইকের বিরক্তিকর আওয়াজ, বাজি-পটকার আকস্মিক শব্দ শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও পৌছে গেছে। ফলে শ্রবণযন্ত্রের সমস্যা , হৃদপিন্ডের নানা রোগ, স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    বায়ুদূষণ:

    বায়ুদূষণ এখন সারা বিশ্বে একটি প্রকটিত সমস্যা। বিশেষত উন্নত বিশ্বে এবং অনুন্নত বিশ্বের শহর এলাকায়। বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন হাল্কা বস্তু বায়ুদূষণ ঘটায়। অপেক্ষাকৃত ভারি দ্রব্যাদি বেশিক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না। তাই নিচের দিকে ধাবিত হয়। বা পড়ে যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির তাপ, পরিত্যক্ত আবর্জনা প্রভৃতিতে নানা ধরণের অক্সাইড থাকে। এসব অক্সাইড বাতাসের সাথে মিশে সালফার ও নাইট্রোজেনের অম্ল বা এসিড তৈরি করে। ঊর্ধ আকাশে বাতাসের সাথে এদের মিশ্রন ঘটে। তারপর তা এসিডরূপে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয় যাকে এসিড বৃষ্টি বলে। এতে জনজীবনের অনেক ক্ষতি হয়।

    মাটি দূষণ:

    মাটি দূষণ বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময় যতই যাচ্ছে দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে যার ফলে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। চাষিরা তাই ফসলের ক্ষেতে অধিক পরিমাণে প্রয়োগ করছে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক যা মাটির উর্বরাশক্তিকে কমিয়ে দিচ্ছে। তাছাড়া প্লাস্টিক ও পলিথিন জাতীয় দ্রব্য বর্তমানে এতটাই সহজলভ্য হয়েছে যে মানুষ তা এখন যেখানে সেখানে ফেলে রাখছে। এসব দ্রব্য মাটিতে পচতে সময় লাগে প্রায় ৩০০-৪০০ বছর। তাই সেই মাটিতে তখন গাছপালা জন্মায় না। অন্যদিকে এসব দ্রব্য পুড়িয়ে ফেললেও বায়ুতে কার্বন-মনোক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস মিশে বায়ুদূষণ ঘটায়।

    তেজস্ক্রিয় দূষণ:

    বর্তমান বিশ্বে চলছে অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং শক্তি উন্মত্ততা। বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো একের পর এক নতুন নতুন অস্ত্র তৈরি করছে এবং সেগুলোর পরীক্ষা চালাতে গিয়ে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। বিশেষ করে পারমাণবিক যুদ্ধ ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে তেজস্ক্রিয় দূষণের বিপদ সবচেয়ে বেশি।

    প্রতিকার:

    পরিবেশ দূষণের পরিণতি যে কত মারাত্মক হতে পারে তা এখন কেবল অনুমানের বিষয় নয়। মানুষ ইতিমধ্যে হাতে নাতে এর প্রতিফল পেতে শুরু করেছে। তাই পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ করার জন্য গোটা বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। অনতিবিলম্বে বের করতে হবে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার যথার্থ উপায়।

    পরিবেশ সংরক্ষণে ব্যক্তি ও সমষ্টিগত ভূমিকা:

    পরিবেশ সংরক্ষণে দায়িত্ব কেবল সরকার বা কোন নির্দিষ্ট সংস্থা বা ব্যক্তিবিশেষের নয়, এ দায়িত্ব সকলের, প্রতিটি সচেতন নাগরিকের। তবে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার তুলনায় এক্ষেত্রে অধিক সাফল্য বয়ে আনে সমষ্টিগত প্রয়াস। যারা অজ্ঞতাবশত পরিবেশ দূষণে যুক্ত হচ্ছে তাদের সচেতন করতে হবে সমষ্টিগতভাবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। সর্বোপরি পরিবেশকে দূষণ্মুক্ত রাখার জন্য যা গ্রহণ বর্জনের প্রয়োজন তার সবই করতে হবে আমাদের।

    দূষণের ফলে সৃষ্ট বিরূপ প্রতিক্রিয়া:

    বায়ুমন্ডলে উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সমুদ্রের পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির একটা গভীরতর যোগ রয়েছে। জলোচ্ছাস, বন্যা, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি সব কিছুই বৃক্ষনিধণের প্রতিক্রিয়া বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে কৃষিক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। কখনো অনাবৃষ্টির কারণে সময়মতো বীজবপণ করা যাচ্ছে না আবার কখনো অতিবৃষ্টির কারণে ফসলহানির মতো অবস্থার সম্মুখীন হয় এদেশের কৃষিজীবী মানুষ।

    ঋতু পরিবর্তনে ভূমিকা:

    প্রাকৃতিক কারণে এদেশের ঋতু পরিবর্তনে অনিয়ম দেখা দিয়েছে। ঋতু পরিক্রমা আগের নামে থাকলেও ছয় ঋতুর নিজস্ব যে বৈশিষ্ট্য ছিল তার বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরও প্রধান কারণ বনসম্পদ আগের তুলনায় প্রচন্ড রকম হ্রাস পেয়েছে। তাই প্রকৃতি তার আগের নিয়মের বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলে না।

    পরিবেশ রক্ষায় বনায়ন:

    প্রাকৃতিক এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে হলে বনভূমিকে রক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে অব্যবহৃত সমুদয় জমিতে বৃক্ষরোপণ করে বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। শতক্রা পঁচিশ ভাগ বা তারও বেশি পরিমাণ জমিতে গাছপালা লাগাতে হবে।

    পরিবেশ দূষণের ফলে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি:

    পরিবেশ দূষণের ফলে সৃষ্ট বিরূপ প্রভাব পড়ছে মানুষের জনজীবনের ওপর। World Health Organisation এর একটি পরিসংখ্যান মতে পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ৫ বছরের অনুর্ধ্ব যত শিশুর মৃত্যু হয় তার প্রায় ৭০ ভাগ হয় পানিদূষণের কারণে। তাছাড়া বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর প্রায় ২২ লাখ মানুষ শ্বাসকষ্টে মারা যায়। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে বায়ুদূষণের কারণে এশিয়া মহাদেশের উপর তিন কিলোমিটার পুরু ধোয়াশা দেখা যাচ্ছে যা যেকোনো মুহুর্তে এসিড বৃষ্টিরূপে মাটিতে ঝড়ে পড়তে পারে। তাছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে কলেরা, পোলিও, হেপাটাইটিস বি ইত্যাদি রোগের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির অনুপ্রবেশের ফলে মানুষের ত্বকের ক্যান্সার থেকে শুরু করে চোখে ছানিতে সমস্যা দেখা দিবে। এমনকি ক্ষেতের শাকসবজির মধ্যেও তেজস্ক্রিয়তা চলে আসতে পারে।

    গণসচেতনতা বৃদ্ধি:

    পরিবেশ দূষণ একটি মারাত্মক সমস্যা আমাদের সকলের জন্য। মানব সৃষ্ট কারণেই পরিবেশ বেশি দূষিত হয়। তাই সকলের সচেতন হওয়া উচিত। এবং পরিবেশ দূষিত না হওয়ার অঙ্গিকার নিয়ে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। সুস্থ পরিবেশ, সুস্থ জাতি, সুস্থ সমাজ গঠণে সকলকে কার্যকরি পদক্ষেপ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে। মিডিয়ায় জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা যেতে পারে। সরকারের এই ব্যাপারে কঠোর আইন প্রয়োগ করে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া দরকার।  

    উপসংহার:

    বাংলাদেশ অনুন্নত বিশ্বের একটি দেশ। জনসংখ্যার ভারে পীড়িত ও প্রাকৃতিক সম্পদে দীন এই দেশটির পরিবেশ দূষণ এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সমগ্র বিশ্বের পরিবেশবাদী আন্দোলনের সাথে বাংলাদেশের একাত্ম হওয়া দরকার।
    Almond and Colednan বলেন-
    "The contamination of the atmosphere has victimized normal existence must be eradicated for our betterment."
    তাই আমাদের পরিবেশ দূষণরোধে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তবেই আমরা পাবো একটি সুস্থ, সুন্দর, দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য পৃথিবী।

    Related Posts:

    Disqus Comments
    © 2020 রচনা স্টোর - Designed by goomsite - Published by FLYTemplate - Proudly powered by Blogger